অরবিন্দ রায়: নরসিংদীতে লকডাউনে মানুষকে ঘরে রাখা যাচ্ছে না। বিভিন্ন অজুহাতে মানুষ ঘর থেকে বাইরে বেরিয়ে আসছেন। ফলে প্রতিদিন বাড়ছে করোনা রোগীর শনাক্ত ও মৃত্যু সংখ্যা। নরসিংদীতে করোনায় ভয়াবহ আকার ধারণ করছে। মানুষ স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলাচল করছেন না।
বিভিন্ন নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের দোকান ছাড়া অন্য দোকান বন্ধ থাকলেও সুযোগ পেলে অন্য সব ধরনের দোকান খোলা থাকে। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে বের হওয়া লোকের সংখ্যাও কম নয়। চায়ের দোকানে সামনের দরজা বন্ধ রেখে ভিতরে চলছে মানুষের আড্ডা। তবে আঞ্চলিক সড়কগুলোতে রিকশা, জরুরি পণ্য সরবরাহ ছাড়াও কিছু ব্যক্তিগত গাড়ি ও পণ্যবাহী ট্রাক চলাচল করছে।
পলাশ উপজেলা নির্বাহী অফিসার জনগনকে সচেতন করতে গিয়ে নিজেও করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন।
পলাশ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারহানা আফসানা চৌধুরী পিএএ জানান, সরকার নির্ধারিত কঠোর লকডাউন বাস্তবায়নে উপজেলা প্রশাসন তৎপর রয়েছে। জনগণকে ঘরে রাখতে সব ধরণের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। সড়ক হাট-বাজারগুলোতে মানুষের চলাচল নিয়ন্ত্রণে পর্যাপ্ত আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েনের পাশাপাশি মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হচ্ছে। কিন্তু এত কিছুর পরও মানুষ সুযোগ পেলে বাইরে বেরিয়ে আসছেন।
নরসিংদীতে গত ২৪ ঘন্টায় নতুন করোনা শনাক্ত ২৭৯ জন। করোনার নমুনা সংখ্যা বিবেচনায় শনাক্তের হার ৪৭ শতাংশ। এ পর্যন্ত জেলায় মোট করোনা শনাক্ত ৬ হাজার ৮৯২ জন। জেলায় মোট করোনায় মৃত্যু ৭১ জন। নতুন করোনা শনাক্তের মধ্যে নরসিংদী সদর উপজেলায় ১৩২ জন, রায়পুরা উপজেলায় ১৭ জন, বেলাবো উপজেলায় ৪৩ জন, মনোহরদী উপজেলায় ৫ জন, শিবপুর উপজেলায় ৩৩ জন, পলাশ উপজেলায় ৪৯ জন। নরসিংদীর সিভিল সার্জন ডাঃ মো নূরুল ইসলাম বৃহস্পতিবার ২৯ জুলাই এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এ পর্যন্ত নরসিংদী করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে ৭১ জন। নরসিংদী সদর উপজেলায় মৃত্যুবরণ করেছেন ৩৪ জন, পলাশ উপজেলায় ৭ জন, বেলাব উপজেলায় ৭ জন, রায়পুরা উপজেলায় ৯ জন, মনোহরদী উপজেলায় ৫ জন, শিবপুর উপজেলায় ৯ জন। বেশির ভাগ মানুষ সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলাফেরা করছেন না। ফলে নরসিংদী দিনে দিনে করোনায় আক্রান্ত ও মৃত্যু বাড়ছে।
Leave a Reply