এম. ওবায়েদুল কবীর: গত ২১ অক্টোবর তারিখ দুপুর আনুমানিক দেড়টায় চরসুবুদ্ধি বাজারে শামীম প্লাজার নিচ তলায় ‘আরিফা জুয়েলার্স’ নামক জুয়েলারি দোকানে তালা কেটে জুয়েলারি মালামাল চুরি হয়।
এ বিষয়ে গতকাল বেলা বারোটায় নরসিংদী এসপি অফিসে এক প্রেস কনফারেন্সে সাংবাদিকদের এ কথা জানান। প্রেস কনফারেন্সে জানানো হয়, নরসিংদীর রায়পুরা থানাধীন মির্জানগর ইউনিয়নের বাহেরচর গ্রামের মৃত সুরুজ মিয়ার ছেলে মো. শামীম মিয়া (৩৮) রায়পুরা থানায় একটি চুরির অভিযোগ দায়ের করেন। তিনি জানান, তার চরসুবুদ্ধি বাজারে শামীম প্লাজার নিচ তলায় ‘আরিফা জুয়েলার্স’ নামক জুয়েলারি ব্যবসার দোকান রয়েছে। গত ২১ অক্টোবর তারিখ দুপুর আনুমানিক সাড়ে ১২ টায় জুয়েলারি দোকান তালা বন্ধ করে জুম্মার নামাজের জন্য চলে যাই। দুপুর আনুমানিক দেড়টায় আমার ছেলে নাজমুল মিয়া (২০), দোকানে এসে দেখতে পায় যে, উপরোক্ত দোকানের তালা ভেঙ্গে সাড়ে ৩ ভরি ওজনের ২ জোড়া স্বর্ণের বালা, ১৩ আনা ওজনের ২টি স্বর্ণের চেইন, ১১ আনা ওজনের ৪ জোড়া স্বর্ণের কানের দুল, সর্বমোট ০৫ ভরি স্বর্ণালংকার যার মূল্য ৩,৭৫,০০০টাকা এবং বিভিন্ন আইটেমের ৭০ ভরি রুপা, যার মূল্য অনুমান ৭০,০০০টাকা এবং নগদ ১,০০,০০০টাকা চুরি করে চোরেরা দোকান হতে বের হয়ে চলে যাচ্ছে। তখন আমার ছেলের ডাক চিৎকারে বাজারের লোকজন ঘটনাস্থলে এসে আসামী ১। কুমিল্লার মুরাদ নগর থানাধীন নিয়ামতপুর গ্রামের মৃত সামসুর ছেলে সজিব (৩২) ও কুমিল্লার দেবীদ্বার থানাধীন ভিংলা বাড়ী গ্রামের মৃত সুখ লাল বরি দাসের ছেলে ভুট্টো করি দাস (২৫) কে আটক করেন। তাদের সর্ঙ্গীয় অন্যান্যরা পালিয়ে যায়। উপরোক্ত ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে, নরসিংদী জেলা পুলিশ সুপার কাজী আশরাফুল আজীম পিপিএম’র সুনির্দিষ্ট দিকনির্দেশনায় নরসিংদী জেলার ডিবি ছায়া তদন্ত শুরু করে। নরসিংদী জেলা গোয়েন্দা শাখার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ আবুল বাসার পিপিএম-বার এর নেতৃত্বে এসআই (নি.) সাদেকুর রহমান, এসআই (নি.) নজরুল ইসলাম, এসআই (নি.) শাহাদৎ হোসেন জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি), নরসিংদী সর্ঙ্গীয় ফোর্সের সহায়তায় গত ২৭ অক্টোবর তারিখ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ও প্রযুক্তির সহায়তায় কুমিল্লা জেলার বিভিন্ন স্থানে পৃথক পৃথক অভিযান পরিচালনা করে মামলার ঘটনায় জড়িত তদন্তে প্রকাশিত ৪ জন আসামীকে আটকপূর্বক তাদের কাছ থেকে ৫ ভরি রুপা, ২ টি বালা, ২ জোড়া কানের দুল উদ্ধার করেন।
গ্রেফতারকৃত আসামিরা হল
১। মোঃ রুবেল (৩২), পিতামৃত-আবু কালাম, গ্রাম-মিয়া খান নগর (দুদু মিয়া এর কলোনী), থানা-বাকলিয়া, জেলা-চট্টগ্রাম।
২। রুবেল (৩৫), পিতামৃত-রব্বানী বাবুর্চি, গ্রাম-নবীপুর (ধনিয়া কাজীবাড়ী), থানা-মুরাদনগর, জেলা-কুমিল্লা, বর্তমান ঠিকানা-কোচাতলী কুমিল্লা হাউজিং, রোড-০৩, বাসা-০৩ (হাজী কাজল মিয়া এর বাড়ীর ভাড়াটিয়া), থানা-কোতয়ালী, জেলা-কুমিল্লা।
৩। মো. রাসেল (২১), পিতা-মো. তোফাজ্জল হোসেন, গ্রাম-নোয়াকান্দি, থানা-মুরাদনগর, জেলা-কুমিল্লা।
৪। মো. হাসান (২২), পিতা-মো. জাকির হোসেন, গ্রাম-রতন নগর, থানা-মুরাদনগর জেলা-কুমিল্লা।
আসামীরা আন্তঃজেলা চোর চক্রের সদস্য। আসামী রুবেল (৩৫) এর বিরুদ্ধে নরসিংদী, বগুড়া ভোলা এবং কুমিল্লায় ৪ টি মামলা রয়েছে। আসামী মো. রাসেল মিয়া এর বিরুদ্ধে কুমিল্লার বিভিন্ন থানায় ৩ টি মামলা রয়েছে। আসামী মো. রুবেল (২৫) এর বিরুদ্ধে সিএমপি এর কর্ণফুলী থানায় ১ টি মামলা রয়েছে।
গ্রেফতারকৃত আসামীদের রায়পুরা থানায় উল্লেখিত মামলায় বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হবে বলে প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
Leave a Reply