ডেস্ক রিপোর্ট:
নরসিংদীর রায়পুরায় আধিপত্য বিস্তারের জেরে প্রতিপক্ষ এক ব্যক্তির হাতের কবজি ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে বিচ্ছিন্ন করে ফেলেছে। বৃহস্পতিবার বিকেল চারটার দিকে উপজেলার নিলক্ষা ইউনিয়নের বীরগাঁও গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় তাদের হামলায় আরও একজন গুরুতর আহত হন।
হাতের কবজি কেটে দেওয়া ওই ব্যক্তির নাম ইব্রাহিম মিয়া (৪০)। ওই হামলায় আহত অপর ব্যক্তির নাম সবুজ মিয়া (৩০)। তাঁরা রায়পুরা উপজেলার বীরগাঁও গ্রামের বাসিন্দা ও রাজীব সরকার পক্ষের সমর্থক।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বীরগাঁও এলাকার আবদুল হক পক্ষের সঙ্গে রাজীব সরকার পক্ষের বিরোধ দীর্ঘদিনের। এর জের ধরে আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে আবদুল হক গ্রুপের লোকজন রাজীব সরকার পক্ষের লোকজনের ওপর হামলা চালান। হামলাকারীরা এ সময় ইব্রাহিম মিয়ার বাঁ হাতের কবজি বিচ্ছিন্ন করে দেন এবং সবুজ মিয়াকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে উপর্যুপরি কুপিয়ে পালিয়ে যান।
পরে স্থানীয় লোকজন আহত দুজনকে উদ্ধার করে নরসিংদী সদর হাসপাতালে পাঠান। হাসপাতালটিতে তাঁদের দুজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেন জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক। খবর পেয়ে রায়পুরা থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ঘটনার পর থেকে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে, পরিস্থিতি থমথমে হয়ে আছে।
এই বিষয়ে কথা বলার জন্য রাজীব সরকার ও তাঁর প্রতিপক্ষ আবদুল হকের মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি ধরেননি।
নিলক্ষা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আক্তারুজ্জামান বলেন, ‘প্রতিপক্ষের হামলায় একজনের কবজি বিচ্ছিন্ন হওয়াসহ দুজন আহত হয়েছেন বলে জানতে পেরেছি। আমি এখন এলাকায় নেই, স্থানীয়দের মাধ্যমে এই বিষয়ে খোঁজখবর নিচ্ছি। ঘটনাটি রায়পুরা থানা-পুলিশকে জানানো হয়েছে।’
রায়পুরা থানার উপপরিদর্শক আবদুস সালাম বলেন, ঘটনার পর থেকেই ওই এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এলাকার পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
Leave a Reply