মোঃ জসিম উদ্দিন: কওমি মাদরাসা শিক্ষক পরিষদ এর সভাপতি ও কাপাশিয়ার দেওনার পীর মিজানুর রহমান চৌধুরী বলেছেন দেশে মাদরাসা শিক্ষা, দ্বীনি শিক্ষা শূন্য করার অপকৌশল করা হচ্ছে। আমাদের শিশু বাচ্চাদেরকে নাস্তিক হওয়ার অপকৌশল করা হচ্ছে। দ্বীনি শিক্ষা বন্ধ করে আমাদের সন্তানদেরকে নাস্তিক বানানোর অপকৌশল করা হচ্ছে। মাদরাসা শিক্ষা বন্ধ, মাদরাসা শিক্ষা শূন্য করার ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। দ্বীনি শিক্ষা না থাকলে এ জাতি ধ্বংস হয়ে যাবে। কাজেই এমন অভিন্ন শিক্ষা ব্যবস্থা চলতে দেয়া যাবে না। তিনি গতকাল রবিবার নরসিংদী সদর উপজেলার বাদুয়ারচরে প্রতিষ্ঠিত তালিমুল সুন্নাহ মাদরাসা আয়োজিত কওমি মাদরাসা শিক্ষক পরিষদ এর সাধারণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কওমি মাদরাসা শিক্ষক পরিষদ এর সহসভাপতি ও বাদুয়ারচর তালিমুস্ সুন্নাহ মাদ্রাসার প্রধান পৃষ্টপোষক সুফি ইকবাল হোসাইন। বক্তব্য রাখেন বিশেষ অতিথি কওমি মাদরাসা শিক্ষক পরিষদ এর মহাসচিব মাওলানা মুস্তাকিম বিল্লাহ, সিনিয়র সহ-সভাপতি মাওলানা আশেক মোস্তফা। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সাবেক চেয়ারম্যান মাওলানা তাজুল ইসলাম, মাওলানা আতাহার আলী, মাওলানা সাদেকুর রহমান, মাওলানা আবদুর নূর, মাওলানা আব্দুর রশিদ আহমেদ, এ সংগঠনের আইন বিষয়ক সম্পাদক এডভোকেট মতিউর রহমান, বীর মুক্তিযোদ্ধা তমিজ উদ্দিন মাস্টার প্রমুখ।
উপস্থিত ছিলেন আল আরাফা ওভারসিস এর প্রোপ্রাইটর মোহাম্মদ জাকারিয়াসহ আলেম ওলামাগণ।
বক্তব্য শেষে হাফেজ মাওলানা তাজুল ইসলামকে সভাপতি এবং হাফেজ মাওলানা ইব্রাহিমকে সাধারণ সম্পাদক করে ৩১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়।
এসময় প্রধান অথিতি আরোও বলেন, বর্তমান শিক্ষা কমিশনে আলেম ওলামাদের ঠাই হয়নি বলেই ইসলাম ধর্ম বিষয়ে অযোগ্যরা আসীন হয়েছে। তাদের দিয়ে শিক্ষা কমিশন গঠনের ফলেই সম্প্রতি পাঠ্য পুস্তকে ইসলাম বিরোধী অধ্যায় প্রকাশিত হয়েছে। বিষয়টি সাময়িক অপসারণ করলেও তা পুরোপুরি সুরাহা হয়নি। তাই আগামী শিক্ষা কমিশনে ইসলাম ধর্মের বিষয়ে আলেমদের যুক্ত করতে হবে। ধর্মীয় শিক্ষা বাধ্যতামূলক করার জন্য জোর দাবী জানান।
Leave a Reply