খরা
আহম্মেদ শামসুদ্দিন কুটি
খরায় দেশটা জ্বলে পুড়ে
উজার হয়ে যায়,
কোথাও নেই বৃষ্টি মাত্র
মাটি ফেটে খায়।
নদী নালা খাল-বিল
শুকিয়ে হলো চৌচির,
পশু পাখি দিনে রাতে
আহাজারিতে অস্থির।
একি গজব দিলে আল্লাহ
পানাহ চাই তোমার,
মানুষ পশু ফসল জমি
হারাই না যেন আর।
মুক্তিযোদ্ধা
আহম্মেদ শামসুদ্দিন কুটি
ঘায়নার হাত থেকে
দেশটাকে ছিনিয়ে,
মুক্ত করলো যারা
রক্তের বিনিময়ে।
পেয়েছে কি তারা
উপযুক্ত সম্মান,
তারা রেখে ছিলো
মায়ের মান।
পথকলি
আহম্মেদ শামসুদ্দিন কুটি
রেস্তরা ঢুকেই পথকুলি
টাটকা বিরানী খেয়ে
পয়সা না দিয়ে চলে যেতেই
ম্যানেজার আসে ধেয়ে।
বয় বেয়ারা মিলে সবে
হুরাহুরি করে,
ধরে তাকে গেইটে গিয়ে
এনে বসের ধারে।
বস্ চোখ রাঙিয়ে বলে
পয়সা নাইরে বেটা,
সাহস তোর কম না দেখি
করবো কি জুতো পেটা।
পথকলি হেসে বলে
গরমে শরীর ভেজা,
বস্ তুমি আমার বন্ধু
খেয়েছি বেশ মজা।
মজুরী
আহম্মেদ শামসুদ্দিন কুটি
জুতো ব্রাশ করি ভাই
বসে গলির মোড়ে,
পরিস্কার দিলে সাব চলে
যেতে চায় দুরে।
মজুরী চাই তার কাছে
কান ধরে আমারে টেনে,
চোখ রাঙিয়ে কথা বলে
রাখিস্ আমায় চিনে।
জুতো পিঠে ভাত জুটেনি
যাবো উপাস মরি
রৌদ্রে জ্বলে করি কাজ
দিলোনা সে আমার মজুরী।
জামাই
আহম্মেদ শামসুদ্দিন কুটি
নতুন সাজে সাজিয়ে জামাই যাবে শ্বশুর বাড়ী
ঘরে আসবে মেয়ে বউ সবাই দেখবে অচিন পুরী।
মাথায় পাগড়ী সেরোয়ানী নাগড়া জুতা-
দু’হাতে মেহেদী পড়িয়ে,
পালকি, পানসী নাও, ভুলে যাবে গাড়ী নিয়ে।
সামনে থাকবে বরের গাড়ী সাজাইয়া রঙ্গ বেরঙ্গে,
এক দিনের সম্রাট সাজিয়া মহারানী
সঙ্গী করে সঙ্গে। পিছনে থাকবে মটর সাইকেল-
হাইলেটস নুয়াহ গাড়ী,
বর যাত্রী বসে থাকবে দোয়া করি
সুখী হও জীবন ভরি।
Leave a Reply