এএইচ ভূইয়া সজল :
নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার মুছাপুর ইউনিয়নের পূর্ব হরিপুর দক্ষিণপাড়া গ্রামে ঈদগাহে ঈদের নামাজ পড়া নিয়ে ব্যাপক সংঘর্ষের আশংকা রয়েছে। এক শ্রেণীর নৈরাজ্য সৃষ্টিকারী ভিলেজ পলিটিশিয়ান পুরাতন ঈদগাহ মাঠের পরিবর্তে তার সীমানা ঘেষে ঈদের নামাজের জন্য ফসলি জমিতে প্যান্ডেল তৈরী করেন এবং সেখানে ঈদের নামাজ আদায়ের প্রস্তুতি নেয়ায় সংঘর্ষের পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। এতে এলাকাবাসীর মাঝে নামাজ নিয়ে আতংক বিরাজ করছে। সংঘর্ষ এড়াতে ও নামাজ নিয়ে শান্তি রক্ষায় এলাকাবাসী আইন শৃংখলা বাহিনী ও প্রশাসনের তড়িৎ হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। প্রশাসন এগিয়ে না আসলে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে প্রাণহানীর আশংকা করছেন স্থানীয় লোকজন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, পূর্ব হরিপুর গ্রামে আলহাজ্ব আব্দুর রাজ্জাক ভূইয়া, তার স্ত্রী ফজিলাতুন্নেছা ও ছেলে সজল ভূইয়া গ্রামবাসীর সুবিধার্থে ৪ বছর পূর্বে সাড়ে ৭৭ শতাংশ সম্পত্তি ঈদগাহ, কবরস্থান ও মাদ্রাসার জন্য ওয়াকফা করে দান করেন। সে ঈদগাহে গ্রামের লোকজন বিগত দিনে ঈদের নামাজ আদায় করে আসছিলে। সম্প্রতি গ্রামের একটি কুচক্রিমহল তাদের স্বার্থ হাসিলের জন্য গ্রামবাসীকে বিভক্ত করতে পূরাতন ঈদগাহের পার্শ্বের সীমানা ঘেষে আরো একটি ঈদের নামাজ আদায়ের জন্য ফসলী জমিতে প্যান্ডেল নির্মাণ করেছে। কুচক্রী মহল নিরীহ গ্রামবাসীদের পূরাতন ঈদগাহ মাঠের পরিবর্তে নতুন জায়গায় ঈদের নামাজ পড়তে বাধ্য করার জন্য বিভিন্ন প্রকার হুমকী দিয়ে যাচ্ছে। এ অবস্থায় গ্রামের লোকজনের মাঝে সংঘর্ষের আশংকা তৈরী হয়েছে। তারা শান্তি পূর্ণভাবে ঈদের নামাজ আদায় করতে প্রশাসন ও আইন শৃংখলা বাহিনীর হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।
Leave a Reply