মুহাম্মদ মুছা মিয়া:
হুমায়ুন মিয়া নরসিংদীঃ নরসিংদীর মাধবদী থানার পাইকারচর ইউনিয়নের জামিয়া মোহাম্মাদিয়া চরভাসানিয়া মাদরাসার মুহতামীম মুফতি হাবিবুল্লাহ এর বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ এনে পদত্যাগের দাবী করেছেন এলাকাবাসী। এ বিষয়ে গত ২ জুলাই জুতা মিছিল করেছে এলাকাবাসী। পরে গতকাল বিকাল ৩টায় মাদরাসায় প্রতিষ্ঠানটির কমিটি ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দ ঘটনাটি নিয়ে সমাধানের চেষ্টা করে। ঐ সময় মাদরাসার মাঠ ও আশেপাশে শতশত এলাকাবাসীর এক দাবী মুফতি হাবিবুল্লাহর পদত্যাগ করে বিচার চান। ঘটনাটি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কঠোর সমালোচনা হচ্ছে।
এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা ও অত্র প্রতিষ্ঠানের অভিভাবক মোঃ মোমেন মিয়া বলেন মুফতি হাবিবুল্লাহ মাদরাসার ছাত্রদের উপর অমানষিক নির্যাতন করেন। তিনি মাদরাসার এতিম বাচ্চাদের টাকা আত্মসাৎ করে নিজে বাড়ি-গাড়ি করেছেন। সমাজের বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষের সাথে ঝগড়া ফ্যাসাদ সৃষ্টি করেন।
এ বিষয়ে স্থানীয়রা আরো জানান, ঈদগাঁহের খতিব মাওলানা হাবিবুর রহমান দীর্ঘ ৩২ বছর যাবৎ ঈদের নামাজ পড়াচ্ছেন। কিন্তু মাদ্রাসার হুজুর মুফতি হাবিবুল্লাহ এলাকায় একক আধিপত্য বিস্তার করতে এলাকার মানুষের কাছে হাবিবুর রহমানের পড়ায় ভুল হয় এবং তাকে ঈদগাঁহের খতিব থেকে বাদ দিতে এলাকার সাধারণ মানুষকে উস্কে দিয়ে এলাকায় ধর্মীয় সংঘর্ষ বাধাবার চেষ্টা করেন।
এতে এলাকার সাধারণ মানুষ ক্ষোভে ফুঁসে উঠে এবং হাবিবুল্লাহর পদত্যাগ দাবিসহ তার মাদ্রাসা থেকে অপসারণ চেয়ে ব্যানার হাতে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন।
বিচার শালিসে নেতৃবৃন্দ সকলের সাথে কথা বলে আগামী এক সপ্তাহের জন্য মুফতি হাবিবুল্লাহকে দায়িত্ব থেকে বাধ্যতামূলক ছুটি দেন এবং এক সপ্তাহ পরে আবারো মাদরাসা কমিটি, মসজিদ কমিটি ও ঈদগাহ কমিটি মিটিংয়ে বসে তদন্ত সাপেক্ষে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিবেন বলে জানান।
এ বিষয়ে মাদরাসার মুহতামীম মুফতি হাবিবুল্লাহর বক্তব্য নিতে গেলে তিনি সাংবাদিকদের বক্তব্য দেননি।
এ সময় বিচার শালিসে উপস্থিত ছিলেন নরসিংদী সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আফতাব উদ্দিন ভূইয়া, মাদরাসার পরিচালনা কমিটির সভাপতি ড. মাহমুবুর রহমান, পাইকারচর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল হাশেম, মাধবদী থানা আওয়ামী লীগের আহবায়ক ও সাবেক চেয়ারম্যান মোঃ সিরাজুল ইসলাম, সাধারন সম্পাদক মোঃ সহিদুল্লাহসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
বিষয়টি নিয়ে এলাকাবাসীর সাথে কথা বললে তারা সাংবাদিকদের বলেন মুফতি হাবিবুল্লাহকে স্বদায়িত্বে মাদ্রাসায় বহাল রাখলে এলাকাবাসী তা মানবে না এবং যে কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটতে পারে বলেও আশঙ্কা করেন।
Leave a Reply