স্টাফ রিপোর্টার:
নরসিংদী পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান ব্রিফিং প্রদান করেন। তিনি জানান গত বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল ২০২৪) মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস নগদ এর দুই জন এজেন্ট এর কাছ থেকে ষাট লক্ষ টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। সকাল অনুমান পৌনে দশটায় নগদ এর দুই জন এজেন্ট ১। মৃত আব্দুর রশিদ পাঠানের ছেলে মো. দেলোয়ার হোসেন পাঠান (৪০), ও মৃত আমির চানের ছেলে মো. শাহিন (২৫), মটর সাইকেলে ষাট লক্ষ টাকা বহনের সময় রায়পুরা থানার আমিরগঞ্জ ইউনিয়নের মাহমুদ নগর গ্রামের ১০ নং ব্রীজ সংলগ্ন শিমুল গাছের পাশে পাকা রাস্তার উপর থেকে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিরা গুলি করে উক্ত টাকা ছিনতাই করে নিয়ে যায়। এই ঘটনার প্রেক্ষিতে রায়পুরা থানায় একটি মামলা রুজু হয়।
মামলা দায়েরের পরে নরসিংদী জেলার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান, পিপিএম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। তার সরাসরি তত্ত্বাবধানে ও সার্বিক দিকনির্দেশনায় ডিবি পুলিশ তদন্ত শুরু করে। পুলিশ পরিদর্শক খোকন চন্দ্র সরকার, অফিসার ইনচার্জ, জেলা গোয়েন্দা শাখা, নরসিংদী সঙ্গীয় অফিসার ফোর্স সহ ২৯ এপ্রিল ২০২৪ সোমবার রাত ১১টায় মাধবদী থানার পাঁচদোনা মোড় থেকে ঘটনার সাথে জড়িত নরসিংদী শালিধার মৃত অলি মিয়ার ছেলে বিধান মিয়া (৩০) নামে ০১ জন আসামিকে গ্রেফতার করেন। তার কাছ থেকে লুন্ঠিত টাকার নগদ ১৪,০০,০০০/- (চৌদ্দ লক্ষ) টাকা উদ্ধার করা হয়।
উক্ত ঘটনা সংক্রান্তে গত বুধবার (১০এপ্রিল ২০২৪) রাত ১০টায় শিবপুর মডেল থানার শিবপুর কলেজ গেট মোড় পাকা রাস্তার উপর থেকে ঘটনার সাথে জড়িত মাধবদীর জীতরামপুর (চরদিগলদীর) মৃত লিটন মিয়ার ছেলে মো. হৃদয় (২৪) ও পলাশ থানার ইছাখালী (পশ্চিমপাড়ার) মোশারফ মিয়ার ছেলে মো. সোলাইমান মিয়া (৩৭) নামের ২ জন আসামিকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের কাছ থেকে নগদের লুন্ঠিত টাকার নগদ দুই লক্ষ টাকা উদ্ধার করা হয়। এ বিষয়ে তারা বিজ্ঞ আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবিন্দ প্রদান করেন। উল্লেখ্য ইতিপূর্বে হৃদয়ের তিনটি মামলা এবং সোলায়মান মিয়ার চারটি মামলা রয়েছে। উক্ত ঘটনা সংক্রান্তে এ পর্যন্ত ০৩ জন আসামী গ্রেফতার এবং সর্বমোট ষোল লক্ষ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে বলে পুলিশ সুপার জানান।
সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) শামসুল আরেফিন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) এস এ এম কুদরত ই খুদা, ডিবি ওসি খোকন চন্দ্র দাসসহ অন্যান্য পুলিশ কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।
Leave a Reply