ডেস্ক রিপোর্ট
নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার চাঁনপুর ইউনিয়নের ৯টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ১টিতেও প্রধান শিক্ষক নেই। সহকারী শিক্ষকেরও তীব্র সংকট, শিক্ষা র্কায্যক্রম ব্যবহত হচ্ছে। বিদ্যালয়গুলোর ৪০শতাংশ শিক্ষকের পদই শূন্য। প্রধান শিক্ষক এর জন্য বার বার দাবি করেও তা বাস্তবায়ন হয়নি।
রাজধানীতে এক আলোচনা সভায় নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার চাঁনপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোমেন সরকার এসব তথ্য জানান,‘এনশিওরিং ইকুইট্যাবল প্রাইমারি এডুকেশন অপরচুনিটিস ফর মারজিনালাইজড চিলড্রেন’ শীর্ষক ওই আলোচনা সভার আয়োজন করে বেসরকারি সংস্থা শাপলা নীড়। তিনি আরো জানান, ‘আমরা চর এলাকার মানুষেরা বৈষম্যের শিকার। আমাদের ৯টা স্কুলের মধ্যে একটায়ও প্রধান শিক্ষক নেই। এমনও দেখা গেছে, একটা স্কুলে মাত্র একজনই শিক্ষক আছেন। শিক্ষক বৃদ্ধির জন্য ডিসি, ইউএনওর কাছে ১৩-১৪ বছর ধরে তদবির করে যাচ্ছি; কিন্তু শিক্ষক পাচ্ছি না। আমার এলাকায় শিক্ষার হার অত্যন্ত কম, মাত্র ২৫ পারসেন্ট। এই শিক্ষার হার নিয়ে আমরা ডিজিটাল হতে পারব না।’
সভায় বক্তারা জানান, চাঁনপুর ইউনিয়ন মেঘনাবেষ্টিত একটি চর এলাকা। এ এলাকার সঙ্গে উপজেলার কোনো সড়ক যোগাযোগ নেই। কিন্তু চর এলাকা হিসেবে এটি সরকারের গেজেটের অন্তর্ভুক্তও হয়নি। ফলে চর এলাকায় সরকারের যেসব উন্নয়ন কর্মকান্ড থাকে, সে সবও এই এলাকার মানুষ পাচ্ছেন না। জাতীয় পর্যায়ে প্রতি ৩০ জন শিক্ষার্থীর বিপরীতে একজন শিক্ষক আছেন। আর চাঁনপুর এলাকায় ৬৭ জন শিক্ষার্থীর বিপরীতে শিক্ষক মাত্র একজন।
বিশেষ অতিথি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক ড. রাশেদা রওনক খান বলেন, অনেক এলাকাতেই অনেক প্রকল্প নেওয়া হয়, কিন্তু সে তুলনায় উন্নয়ন হয় না। অনেক বস্তি এলাকাতেই দেখি, প্রজেক্টের আওতায় শিশুদের শিক্ষারব্যবস্থা করা হয়। প্রজেক্ট শেষ হয়ে গেলে বাচ্চাগুলো আবার ঝরে পড়ে। নিজেদের পরিবর্তনের জন্য নিজেদেরই উচ্চকণ্ঠ হতে হবে। বিদায়ী রায়পুরা উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো: সোহাগ মিয়া জানান, প্রধান শিক্ষক শূন্য পদ পুরনের জন্য ৯০জন প্রধান শিক্ষক এর তালিকা দিয়ে চাহিদা পাঠানো হয়েছিল,বিভাগীয় মামলা জটিলতার কারণে শিক্ষক সমস্যা সমাধান করা হচ্ছে না। দ্রুত ননক্যাডার বিসিএস প্রধান শিক্ষক নিয়োগ প্রদান করা হতে পারে।
Leave a Reply