স্টাফ রিপোর্টার: নরসিংদীর রায়পুরায় সাংবাদিকের ফসলী জমি, বাড়ী ভুমিদস্যু, চাঁদাবাজ সন্ত্রাসীরা যোগসাজসিকভাবে দখলের চেষ্টা ব্যর্থ করে দিয়েছে আদালত ও পুলিশ। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে প্রকাশ্যে ৫০ লাখ টাকা চাঁদা দাবী করেছে শাহ আলমের নেতৃত্বে সন্ত্রাসী চাঁদাবাজচক্র। দাবীকৃত চাঁদা না দিলে সাংবাদিক ও দৈনিক নরসিংদীর বানী’র সম্পাদক মো. ফারুক মিয়ার পৈত্রিক দখলীয় ধান ফসলী জমি বাড়ী-ঘর দখল করে নেয়া সহ ভিটেবাড়ী থেকে উচ্ছেদ করা এবং তার প্রাণ নাশের হুমকী দিয়েছে। প্রাণ নাশের হুমকীর মুখে নিরাপত্তাহীনতায় ভূগছে সাংবাদিক ও তার পরিবারের লোকজন। স্থানীয়রা জানায়, শাহ আলম একজন মুখোশধারী শয়তান, এলাকার শান্তি শৃংখলা বিনষ্টকারী। সে ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী নানা অজুহাতে সাধারণ মানুষের ক্ষতিসাধন করে থাকে। সাংবাদিক ফারুক মিয়া জানায়, শনিবার সকালে শাহ আলমের নেতৃত্বে নূরুল ইসলাম, জসিম উদ্দিন, সালাউদ্দিন, জিয়াউর রহমান, শাহিন, আরমান, মাসুদ মিয়া আমার নিকট জমি ও বাড়ীর জন্য ৫০ লাখ টাকা প্রকাশ্যে চাঁদা দাবী করে। তারা আমার পৈতৃক ভোগ দখলীয় জমি-বাড়ী দখল করতে চায়। এ বিষয়টি আমি রায়পুরা থানার অফিসার ইনচার্জকে জানিয়েছি। উল্লেখ্য গত ৭ মার্চ চাঁদাবাজ সন্ত্রাসীরা ধারালো অস্ত্র ও লাঠিসোঠা নিয়ে সায়দাবাদ গ্রামে সাংবাদিকের ধান ফসলের জমিতে খুটি ঘেরে দখল করতে আসে। তাদের বাধা দিতে গেলে সন্ত্রাসীরা ধারলো অস্ত্র নিয়ে সাংবাদিককে হত্যার উদ্দেশ্যে এগিয়ে আসে। খবর পেয়ে রায়পুরা থানা পুলিশের সাব ইন্সপেক্টর আব্দুল্লাহ আল মামুন দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। এ সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন রায়পুরা ভূমি সহকারী কর্মকর্তা ডলি রাণী। উপজেলার সায়দাবাদ ফেরীঘাট সংলগ্ন এলাকায় সাংবাদিকের ফসলী জমির কাছে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ফারুক মিয়া বাদী হয়ে নরসিংদী অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করলে আদালত শান্তি-শৃংখলা রক্ষায় রায়পুরা থানার ওসিকে নির্দেশ দেন। মামলার বিবাদীরা হলো, নূরুল ইসলাম, জসিম উদ্দিন, শাহ আলম, জিয়াউর রহমান, সালাউদ্দিন, শাহিন, আরমান, মাসুদ মিয়া। এদিকে মামলা দায়েরের খবর পেয়ে বিবাদীপক্ষ ও তাদের অপকর্মের সহযোগিরা ক্ষিপ্ত হয়ে প্রকাশ্যে সাংবাদিক ও তার পরিবারের লোকজনের নিকট চাঁদাদাবী, খুন-জখম সহ তাদের বাড়ী ও জায়গা জমি দখল করে নিবে বলে হুমকী দেয়। অব্যাহত হুমকীর মুখে নিরীহ সাংবাদিক পরিবারের লোকজন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। এ ব্যাপারে সাংবাদিক ফারুক মিয়া প্রশাসন ও পুলিশ বিভাগের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
Leave a Reply