বিশেষ প্রতিনিধি:
নরসিংদীর পলাশে গৃহিনী দেলোয়ারা বেগম (৫৫) কে গলাকেটে হত্যার বিষয়ে পরিবারেরর পক্ষ থেকে একমাত্র মেয়ে নারগিস বেগম জানান, বাড়ির পাশে বেশ কিছু জমি রয়েছে, এই জমি নিয়ে প্রতিবেশী হাবিল মিয়ার সাথে বিরোধ রয়েছে। এই বিরোধকে কেন্দ্র করে হাবিল মিঞার পরিবারের সাথে দেলোয়ারা বেগম ও তার ছেলে নাদিম মিয়ার একাধিকবার ঝগড়া ও মারামারির ঘটনা ঘটেছে। আর এই ঘটনায় স্থানীয় ইউপি সদস্য মনিরুজ্জামান আজাদ এবং ইউপি চেয়ারম্যান কামরুল ইসলাম গাজী একাধিকবার বৈঠক করেছেন। বৈঠকে বিষয়টি সমাধান করা সম্ভব হয়নি। এই জমির বিরোধকে কেন্দ্র করে পলাশ থানায় এবং নরসিংদীর আদালতে একাধিক মামলা রয়েছে। ওই মামলাগুলো এখনো চলমান রয়েছে। স্থানীয় ইউপি সদস্য মনিরুজ্জামান আজাদের নিকট আত্মীয় হওয়ায় আদিল মিয়ার পক্ষ নিয়ে কাজ করার কারণে বিষয়টি সহজেই সমাধান করা সম্ভব হয়নি।
নিহত দেলোয়ারা বেগমের ছেলে নাদিম মিয়া জানান, বাড়ির জমি নিয়ে প্রতিবেশী হাবিল মিয়ার সাথে বিরোধ রয়েছে। এ বিরোধে কিছুদিন পর পর সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে আমাদেরকে মারধর করার চেষ্টা করে। আমার বড় দুই ভাই বিদেশে থাকে এবং একমাত্র বোন বিয়ে হয়ে গেছে আমিও বাড়িতে না থাকায় প্রতিপক্ষরা বাড়িতে মাকে একা পেয়ে সুযোগ বুঝে হত্যা করে। আমি এই হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক বিচার দাবি করছি।
এ ঘটনার বিষয় মনিরুজ্জামান আজাদ বলেন, আমি স্থানীয় ইউপি সদস্য হিসেবে তাদের পারিবারের কয়েকটি বৈঠকে বসেছিলাম এবং স্বামী স্ত্রীর ঘটনায় বিষয়টি মীমাংসা করার চেষ্টা করেছিলাম কিন্তু সম্ভব না হয় বিষয়টি আদালতে গড়িয়েছে।
হত্যাকা-ের বিষয়ে পলাশ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ ইখতিয়ার উদ্দিন জানান, ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে হত্যাকা-ের আলামত সুরতহাল তৈরী করা হয় এবং মরদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নরসিংদী সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এই ঘটনায় এখনো পর্যন্ত মামলা হয়নি বা কাউকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। অপরদিকে এই ঘটনার পর থেকে প্রতিবেশী হাবিল মিঞার পরিবার সকল সদস্যরা পলাতক রয়েছে।
হত্যাকা-ের খবর শুনে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে তদন্ত কাজ শুরু করেছেন বলে জানিয়েছেন পিবিআই সদস্য আব্দুল কুদ্দুস।
উল্লেখ্য: গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় পলাশের চরনগরদীতে নিজ ঘরে ঢুকে দেলোয়ারা বেগম (৫৫) নামে এক গৃহীনিকে গলাকেটে হত্যা করে দুবৃত্তরা। হত্যাকান্ডের ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
Leave a Reply