আতাউর রহমান ফারুক: কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে নরসিংদীর মনোহরদীতে বেপরোয়াভাবে চলছে গরু চুরি। রাত জেগে গোহাল পাহারা দিয়েও চুরি রোধ করা যাচ্ছে না। গত কিছুদিনে এখানে রাতের আঁধারে গোয়ালে হানা দিয়ে কমপক্ষে ২৫টি গরু চুরির ঘটনার কথা জানা গেছে। ফলে গরুর মালিকেরা দুশ্চিন্তাগ্রস্ত অবস্থায় ঘুমহীন রাত কাটাচ্ছেন।
লকডাউনের ভেতরেও গত শুক্রবার দিনগত মধ্যরাতে মনোহরদীর লেবুতলা গ্রামের আবু মুছা ডাক্তারের বাড়ি থেকে একটি গরু চুরি হয়। আবু মুছা জানান, তার বাড়ির গোয়াল থেকে আনুমানিক ৫০ হাজার টাকা মূল্যের অস্ট্রেলিয়ান জাতের একটি বাছুর চুরি হয়েছে।
এর আগে গত ২০ জুন উপজেলার বীর আহাম্মদপুর গ্রামের মো. রতনের বসতঘর সংলগ্ন গোয়াল থেকে মধ্যরাতের দিকে দুইটি গর্ভবতী গাভী ও একটি ষাড় বাছুর চুরি হয়। রতন জানান, গরু তিনটির বর্তমান বাজারমূল্য হবে প্রায় দুই থেকে আড়াই লাখ টাকা।
তিনি জানান, একই রাতে একই গ্রামের লেহাজ উদ্দীনের একটি গরু তার গোয়াল থেকে চুরি হয়। গরুটির বাজারমূল্য ৫০ হাজার টাকার মতো হবে বলে ধারনা করা হচ্ছে।
গত ১৬ জুন দিবাগত রাতে গাংকুলকান্দী গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য আবুল কাশেমের একটি গরু ও এর আগে তারই প্রতিবেশী লতুর একটি গরু চুরি হয়। গ্রামবাসী সূত্রে জানা যায়, গরু দুটির মূল্য দাঁড়াবে প্রায় এক লাখ টাকার মতো।
ওই ঘটনার কয়েকদিন আগে বীর আহাম্মদপুর গ্রামের শামসুল ইসলামের বাড়ি থেকে দুটো ষাড় গরু চুরি হয়। তার ছোট ভাই ব্যবসায়ী হাবিবুর জানান, গরু দুটোর বাজার মূল্য আনুমানিক লাখ দেড়েক টাকার মতো হবে।
কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে একের পর এক গরু চুরির ঘটনায় গরুর মালিকদের রাতের ঘুম হারাম হয়ে উঠেছে বলে তাদের সঙ্গে আলাপ করে জানা গেছে।
এর আগে সারৈকান্দী গ্রামের বাদল মিয়ার গোয়ালের তালা কেটে একটি ষাড় গরু চুরি হয়। গরুটির বাজার মূল্য ৮০ হাজার টাকার মতো হবে বলে বাদলের স্ত্রী শিউলী জানান। একই রাতে এ গ্রামের আইন উদ্দীন ও আবুল হাশেমের গোহাল থেকেও গরু চুরির ঘটনা ঘটে। সারৈকান্দী গ্রাম থেকে একই রাতে মোট ৪টি গরু চুরির ঘটনায় গেরেস্তরা প্রায় তিন লাখ টাকার ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন।
মনোহরদীর পৌরসভার কর্মী জুয়েল জানান, মাস দেড়েক আগে তাদের অর্জুনচর গ্রামের বাড়ি থেকে একটি গরু চুরি হয়। এ ঘটনায় অর্জুনচর ও আসাদনগর গ্রাম থেকে হাতেনাতে ৫ যুবককে ধরা হয়। পরে থানায় সোপর্দ ও মামলা দিয়ে কোর্টে পাঠানো হয়। কিন্তু কয়েকদিন পরই জামিনে মুক্ত হয়ে তারা বাড়ি চলে আসেন বলে হতাশা প্রকাশ করেন জুয়েল।
এসব বিষয় নিয়ে মনোহরদী থানার ওসি (তদন্ত) আরিফুর রহমান জানান, পুলিশ নিয়মিত রাত জেগে এলাকায় এলাকায় টহল দিয়ে বেড়াচ্ছে। এলাকাবাসীকেও রাতে পাহারায় সম্পৃক্ত করা হয়েছে। আশা করা যায়, অচিরেই গরু চুরি রোধ করা সম্ভব হবে।
আসছে কোরবানি, বাড়ছে গরু চুরি
আতাউর রহমান ফারুক: কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে নরসিংদীর মনোহরদীতে বেপরোয়াভাবে চলছে গরু চুরি। রাত জেগে গোহাল পাহারা দিয়েও চুরি রোধ করা যাচ্ছে না। গত কিছুদিনে এখানে রাতের আঁধারে গোয়ালে হানা দিয়ে কমপক্ষে ২৫টি গরু চুরির ঘটনার কথা জানা গেছে। ফলে গরুর মালিকেরা দুশ্চিন্তাগ্রস্ত অবস্থায় ঘুমহীন রাত কাটাচ্ছেন।
লকডাউনের ভেতরেও গত শুক্রবার দিনগত মধ্যরাতে মনোহরদীর লেবুতলা গ্রামের আবু মুছা ডাক্তারের বাড়ি থেকে একটি গরু চুরি হয়। আবু মুছা জানান, তার বাড়ির গোয়াল থেকে আনুমানিক ৫০ হাজার টাকা মূল্যের অস্ট্রেলিয়ান জাতের একটি বাছুর চুরি হয়েছে।
এর আগে গত ২০ জুন উপজেলার বীর আহাম্মদপুর গ্রামের মো. রতনের বসতঘর সংলগ্ন গোয়াল থেকে মধ্যরাতের দিকে দুইটি গর্ভবতী গাভী ও একটি ষাড় বাছুর চুরি হয়। রতন জানান, গরু তিনটির বর্তমান বাজারমূল্য হবে প্রায় দুই থেকে আড়াই লাখ টাকা।
তিনি জানান, একই রাতে একই গ্রামের লেহাজ উদ্দীনের একটি গরু তার গোয়াল থেকে চুরি হয়। গরুটির বাজারমূল্য ৫০ হাজার টাকার মতো হবে বলে ধারনা করা হচ্ছে।
গত ১৬ জুন দিবাগত রাতে গাংকুলকান্দী গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য আবুল কাশেমের একটি গরু ও এর আগে তারই প্রতিবেশী লতুর একটি গরু চুরি হয়। গ্রামবাসী সূত্রে জানা যায়, গরু দুটির মূল্য দাঁড়াবে প্রায় এক লাখ টাকার মতো।
ওই ঘটনার কয়েকদিন আগে বীর আহাম্মদপুর গ্রামের শামসুল ইসলামের বাড়ি থেকে দুটো ষাড় গরু চুরি হয়। তার ছোট ভাই ব্যবসায়ী হাবিবুর জানান, গরু দুটোর বাজার মূল্য আনুমানিক লাখ দেড়েক টাকার মতো হবে।
কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে একের পর এক গরু চুরির ঘটনায় গরুর মালিকদের রাতের ঘুম হারাম হয়ে উঠেছে বলে তাদের সঙ্গে আলাপ করে জানা গেছে।
এর আগে সারৈকান্দী গ্রামের বাদল মিয়ার গোয়ালের তালা কেটে একটি ষাড় গরু চুরি হয়। গরুটির বাজার মূল্য ৮০ হাজার টাকার মতো হবে বলে বাদলের স্ত্রী শিউলী জানান। একই রাতে এ গ্রামের আইন উদ্দীন ও আবুল হাশেমের গোহাল থেকেও গরু চুরির ঘটনা ঘটে। সারৈকান্দী গ্রাম থেকে একই রাতে মোট ৪টি গরু চুরির ঘটনায় গেরেস্তরা প্রায় তিন লাখ টাকার ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন।
মনোহরদীর পৌরসভার কর্মী জুয়েল জানান, মাস দেড়েক আগে তাদের অর্জুনচর গ্রামের বাড়ি থেকে একটি গরু চুরি হয়। এ ঘটনায় অর্জুনচর ও আসাদনগর গ্রাম থেকে হাতেনাতে ৫ যুবককে ধরা হয়। পরে থানায় সোপর্দ ও মামলা দিয়ে কোর্টে পাঠানো হয়। কিন্তু কয়েকদিন পরই জামিনে মুক্ত হয়ে তারা বাড়ি চলে আসেন বলে হতাশা প্রকাশ করেন জুয়েল।
এসব বিষয় নিয়ে মনোহরদী থানার ওসি (তদন্ত) আরিফুর রহমান জানান, পুলিশ নিয়মিত রাত জেগে এলাকায় এলাকায় টহল দিয়ে বেড়াচ্ছে। এলাকাবাসীকেও রাতে পাহারায় সম্পৃক্ত করা হয়েছে। আশা করা যায়, অচিরেই গরু চুরি রোধ করা সম্ভব হবে।
Leave a Reply