1. [email protected] : admi2017 :
  2. [email protected] : news post : news post
  3. [email protected] : taifur nur : taifur nur
April 30, 2024, 8:07 pm

১৭ আগষ্ট হাজী আবেদ আলীর ২৪তম মুত্্ুযবার্ষিকি

প্রতিবেদকের নাম
  • পোস্টের সময় Thursday, August 18, 2022
  • 298 বার দেখা হয়েছে

সংবাদদাতা: সততা ব্যবসার মূলধন, অর্থ হচ্ছে ব্যবসার চালিকা শক্তি, পরিশ্রমের ফলে ব্যবসার উন্নতি হয়। তাঁত শিল্পের জনক, শিল্পপতি, দানবীর, যিনি ব্যক্তিজীবনে কথা বলতেন খুবই সীমিত। সমাজের অসহায় মানুষকে নিয়ে ভাবনার বিশালতার ছিল প্রবল। কিভাবে বেকার অসহায় হতদরিদ্র এই সমাজের মানুষকে কাজে লাগানো যায়। নিজের পরিবারের কথা ভাবনার মধ্যে থাকলেও সমাজের সাধারণ মানুষকে নিয়ে, চিন্তা করতেন সবচাইতে বেশি। চাকরী না করার অন্যতম কারণ হলো, চাকরি করলেতো হাজার হাজার মানুষের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা যাবে না। পারিবারিক স্বার্থ জলাঞ্জলি দিয়ে শুরু করলেন ক্ষুদ্র ব্যবসার সূচনা। সময়ের সাথে সাথে প্রবল ইচ্ছাশক্তি ফলে ধীরে ধীরে ব্যবসার পরিধি বাড়তে থাকলো। পুরণ হতে থাকলো প্রতিনিয়ত মনের বাসনা। হাটি হাটি পা পা করে শুরু হলো বেকারদের কর্মসংস্থান ও নিজের স্বপ্ন পূরণের পালা। বেকারদের আস্তে আস্তে কাজের পরিবেশ তৈরি হলো একজন একজন করে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হল। তারপর ধীরে ধীরে শত শত পরিবার, হতাশা, বেকারত্ব ও দারিদ্রতার কষাঘাত থেকে মুক্তি পেল। যেসব স্থানে তিনি প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছিলেন। সেখানে ছিল শুধু মাঠের পর মাঠ সবুজে মোড়ানো সেসব জায়গাগুলোকে তিনি রূপ দিয়েছিলেন। সাজানো বাগানের মত পরিবর্তন এনেছেন এলাকাটিকে বানিয়েছেন রোল মডেল। সাধারণ মানুষের অনেক পরিবর্তন ঘটিয়েছেন জাদুকরী হাতের ছোঁয়ায়। এখন মাঠগুলো হয়েছে শিল্পাঞ্চল হাজার হাজার পরিবারের মুখে হাসি ফুটেছে। এলাকার সাধারন মানুষেরা সম্মান করে ডাকতেন। হাজী আবেদ আলী মিয়াকে গরিবের রাজা। যার কোন রাজ্য ছিল না, ছিল না কোন সিংহাসন, কোন সেনাপতি, কিংবা রাজমহল। যার ব্যক্তি জীবন ছিল অতি সাধারন। পরিচিত কিংবা অপরিচিত কেউ আসলে তাকে এত সম্মান করতেন সবাই তার ব্যবহারে অবাক হয়ে যেতেন। যিনি আসতেন তার সঙ্গে আন্তরিকতা মনোযোগ সহকারে কথাগুলো শুনতেন, তারপর বুঝাতেন পরবর্তীতে সমস্যার সমাধান করতেন যার তুলনা তিনি নিজে। ১৯৪৪ সালে ৫ সেপ্টেম্বর পরিবারের মুখ আলোকিত করে পৃথিবীতে আসেন। পুটিয়া ইউনিয়নের শেরপুর গ্রামে সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারের মুন্সি সবদার আলী মিয়া ও মালেকা বেগমের সন্তান হাজী আবেদ আলী মিয়া। সংসার জীবনে সুখ দুঃখের সাথী ছিলেন মোমেজা বেগম। সংসারকে আগলে ধরে রেখেছিলেন পরম মায়া মমতার বন্ধনে। ব্যবহার ছিল প্রশংসা করার মত। সন্তানদের সব সময় সুশিক্ষা দিতেন। বাড়িতে কোন আত্মীয় স্বজন আসলে আত্মীয়তার মর্যাদা রক্ষা করতেন, তাদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করতেন। সুখে দুঃখে তাদের পাশে দাঁড়াতেন স্বামীর অনুমতি ও সহযোগিতা নিয়ে। এই মহান পুরুষ মানবতার কারিগর আধুনিক শিল্পাঞ্চল গড়ার রূপকার সদা হাস্যোজ্জল। যার জীবনের বেশির ভাগ সময় কেটেছে সমাজের মানুষের অভাব অভিযোগ ও কর্মসংস্থান এর কথা চিন্তা করে। শিক্ষা জীবন শুরু করেছিলেন পুটিয়া স্কুলে। তিনি জনকল্যাণমূলক কাজে বিশেষ অবদানের জন্য মরণোত্তর সম্মাননা পেয়েছিলেন। ভরতেরকান্দী বন্ধু মহল সামাজিক সংগঠনের পক্ষ থেকে সম্মাননা গ্রহণ করেন বাবার পক্ষে ছোট ছেলে প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী মাহবুবুর রহমান মনির। পরিবারের সদস্য তিন ছেলে চার মেয়ে। মনজুর এলাহী, নরসিংদী জেলা বিএনপি’র সদস্য সচিব, দুইবারের নরসিংদী সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, শিল্পপতি, দানবীর, নরসিংদী চেম্বার অব কমার্সের প্রেসিডেন্ট। আব্দুল্লাহ আল মামুন প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী, সমাজসেবক, নরসিংদী চেম্বার অব কমার্সের দুইবারের প্রেসিডেন্ট। মাহবুবুর রহমান মনির আবেদ টেক্সটাইলের পরিচালক, প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী, চার মেয়ে গৃহিনী। তিনি আজ আমাদের মাঝে নেই রেখে গেছেন তাঁর অসংখ্য পদচিহ্ন, স্মৃতি, সমাজ পরিবর্তনের, মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য নিজ হাতে গড়া মসজিদ, মাদ্রাসা, স্কুল, কলেজ, শিল্প প্রতিষ্ঠান, রাস্তাঘাট, শত শত অসহায় গরীব মেয়েদের বিয়ের ব্যবস্থা। উপরওয়ালা ডাকে সাড়া দিয়ে পরিবার ও হাজারো মানুষকে এতিম করে সবাইকে কাঁদিয়ে ১৯৯৮ সালের ১৭ আগস্ট পরপারে চলে গেছেন। মরহুমের জন্য পরিবার পরিজন দোয়ার দরখাস্ত করেছেন।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো দেখুন