মনোহরদী প্রতিনিধি: জলে থৈথৈ। হাঁসের ঝাঁক পা উল্টে ডুবছে আর ভাসছে। জলকেলি করতে করতে ছুটছে জলের উপর দিয়ে। ব্যাঙের লাফালাফিও আছে কমবেশি । আশেপাশের বিল ডোবার মাছও এসে থাকতে পারে দু’য়েকটা। সব মিলিয়ে স্কুলের মাঠ তো নয় যেনো জলে থৈথৈ বর্ষার পুকুর একটি। মনোহরদীর বড়চাপা সরকারী বালিকা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে সামান্য বৃষ্টিতেই জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। হাই স্কুল এবং প্রাইমারীর একই মাঠও কম্পাউন্ড। প্রাইমারী অংশের মাঠ জুড়ে জলে থৈথৈ বর্ষার পুকুরের মতো চিত্র। পানি নিস্কাষনের কোন পথ নেই। হাই স্কুলের প্রবেশ পথও একই মাঠ দিয়ে। সংশ্লিষ্ট শিক্ষক অভিভাবক সবারই ভোগান্তি। বর্ষার জল কাউকেই ছেড়ে কথা বলছে না। ভাগ্যিস, করোনা পরিস্থিতিতে প্রতিষ্ঠান দুটি এখন বন্ধ। খোলা থাকলে কি পরিস্থিতি হতো কে জানে! খুললে পরের পরিস্থিতি কি হবে তা’ও অনুমান করা যায় না। এ ব্যাপারে বড়চাপা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আ. রাজ্জাক মনিরের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, খুব খারাপ পরিস্থিতি চলছে এখানে। প্রায়শই প্রতিষ্ঠানে যেতে হলে মাঠের এক হাঁটু পানি মাড়িয়ে যাতায়াত করতে হয়। অ্যাসাইনমেন্ট বা অন্যান্য প্রয়োজনে স্কুলে আসতে হলে তার ছাত্রীরাও এ পানি ভেঙ্গেই যাতায়াত করে থাকে। পাশের একটি ব্যক্তিগত জমিতে মাটি ভরাটের কারনে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে বলে জানান তিনি। বড়চাপা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল লতিফ জানান, মাঠে মাটি ভরাট করে উঁচু করে ছাড়া আর কোন উপায় দেখছেন না তিনি। বড় কোন বরাদ্দ পেলে তা-ই করবেন বলে জানালেন এ প্রধান শিক্ষক।
Leave a Reply