মোঃ আসাদুজ্জামান নূর, মনোহরদী থেকে: নরসিংদী জেলার মনোহরদী উপজেলায় খাদ্য অধিদপ্তরের ওএমএসের (খোলাবাজার) চাল ও আটা কিনতে মানুষের ভিড় বেড়েছে। বাজারে চালের দাম বেড়ে যাওয়ায় নিম্ন আয়ের মানুষ দীর্ঘ সারিতে দাঁড়িয়ে কিনছেন এই চাল ও আটা। তবে অনেকে দীর্ঘ প্রতীক্ষার পরও চাল-আটা না পেয়ে চলে যাচ্ছেন। ডিলারেরা বলছেন, দৈনিক বরাদ্দের চেয়ে চাহিদা অনেক বেশি। তাই বিক্রি শুরুর কিছুক্ষণের মধ্যেই ওএমএসের চাল-আটা শেষ হয়ে যায়। সোমবার সরেজমিনে দেখা গেছে, মনোহরদী পৌর এলাকায় তিনটি ডিলার পয়েন্টে দীর্ঘ সারিতে চাল-আটা কেনার জন্য দাঁড়িয়ে অপেক্ষায় আছেন নিম্ন আয়ের মানুষেরা।
উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, ২৫ জুলাই থেকে পৌরসভা কার্যালয় প্রাঙ্গণ, মনোহরদী সরকারী পাইলট উচ্চবিদ্যালয়সহ তিনটি পয়েন্টে একযোগে খোলা বাজারে চাল-আটা বিক্রি চলছে। শুক্রবার ছাড়া প্রতিদিন ওএমএস কর্মসূচির আওতায় প্রত্যেক ডিলারকে ১ হাজার ৫০০ কেজি চাল ও ১ হাজার কেজি আটা বরাদ্দ দেওয়া হয়। প্রতি কেজি চাল ৩০ টাকা এবং ১৮ টাকা কেজিতে বিক্রি হয় ১ কেজি আটা। ওএমএসের দোকান থেকে কোনো ব্যক্তি সর্বোচ্চ ৫ কেজি চাল অথবা ৩ কেজি আটা কিনতে পারবেন। ওএমএসের ডিলার মোঃ ফরহাদ আলম আকন্দ জানান, আমাদের চাল ও আটার মান খুব ভালো। তা ছাড়া বাজারে বাড়তি দামে চাল ও আটা বিক্রি হচ্ছে। এতে নাভিশ্বাস হয়ে উঠেছে নিম্ন আয়ের মানুষের। তাই তারা ভিড় করছে আমাদের ওএমএসের চাল-আটা কিনতে। প্রতিদিন সকাল ১০টায় আমরা ওএমএসের চাল ও আটা বিক্রি শুরু করি। আমাদের বরাদ্দের চেয়ে নিম্ন আয়ের মানুষের চাহিদা অনেক বেশি থাকায় দুপুরের আগেই আমাদের বিক্রি শেষ হয়ে যায়। তাই অনেকেই চাল- আটা কিনতে না পেরে ফিরে যান নিজ নিজ বাড়ীতে। ক্রেতাদের চাপ সামাল দেওয়ার জন্য দৈনিক বরাদ্দ আরও বাড়ানো জরুরী।’ চাল কিনতে আসা আঃ বারিক মিয়া জানান, ‘এখান থেকে বাজারের চালের দাম বেশি থাকায় এই লাইনে দাঁড়িয়েছি। তবে শেষ পর্যন্ত পাব কিনা জানি না। লাইনে দাড়ানো আরেকজন জানান, সকাল ৯-৩০মিনিটে লাইনে দাঁড়িয়েছি। ১০টার সময় চাল-আটা বিক্রি শুরু হয়। চাল-আটা কেনার জন্য এক থেকে দেড় ঘন্টা দাঁড়িয়ে থাকতে হয় আমাদের। এরপরও যদি চাল-আটা পাই তাহলেই আমরা খুশি। বাজারে চালের দাম বেড়ে যাওয়ায় আমাদের মতো নিম্ন আয়ের মানুষের খুব কষ্ট হচ্ছে। এখন এই চাল-আটাই আমাদের ভরসা।
Leave a Reply