1. [email protected] : admi2017 :
  2. [email protected] : news post : news post
  3. [email protected] : taifur nur : taifur nur
সর্বশেষ সংবাদ
সিলেটে পিএফজি মনোহরদীর তিনদিনের প্রশিক্ষণ সমাপ্ত নরসিংদীতে শুদ্ধ সুর ও বাণীতে সংগীত কর্মশালা প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত রায়পুরা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আলী আহমেদ দুলু’র প্রার্থিতা ঘোষণা রায়পুরায় চলমান তাপদাহে পথচারীদের জন্য সুপেয় পানি ব্যবস্থা রায়পুরায় হিটস্ট্রোকে দেড় বছরের শিশুর মৃত্যু রায়পুরায় তালুকান্দি কিন্ডার গার্ডেনের ১০ম বার্ষিক ক্রীড়া অনুষ্ঠিত নরসিংদী পৌরসভার মেয়র এর উদ্যোগে চলমান তাপদাহে শহর জুড়ে সুপেয় পানি ও স্বাস্থ্য সেবামূলক কার্যক্রম চালু নরসিংদী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে শিল্প বিপ্লবে চ্যালেঞ্জ ও ভিশন-২০৪১ শীর্ষক সেমিনার এলজিইডি নরসিংদী কর্তৃক শিবপুরে পানির সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা বিষয়ে সচেতনতা ও উদ্বুদ্ধকরণে পটগান ও নাটক প্রদর্শন শিবপুরে প্রেমিকার আত্মহত্যার ১৯ দিন পরে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে প্রেমিকের আত্মহত্যা

একদিনে এক বাড়িতেই হত্যা করা হয় ১৮ নারী-পুরুষকে ঘোড়াশাল ট্র্যাজেডি দিবস আজ

প্রতিবেদকের নাম
  • পোস্টের সময় Monday, December 6, 2021
  • 315 বার দেখা হয়েছে

আল-আমিন মিয়া: আজ ৬ ডিসেম্বর ঘোড়াশাল ট্র্যাজেডি দিবস। মুক্তিযুদ্ধের চূড়ান্ত বিজয়ের ৯ দিন বাকি। দেশজুড়ে কোণঠাসা হয়ে পড়েছে হানাদার বাহিনী। এরই মধ্যে ৬ ডিসেম্বর তৎকালীন কালীগঞ্জ থানার ঘোড়াশালের আটিয়াগাঁও গ্রামের আবুল কাসেমের বাড়িতে হানাদার বাহিনী সর্বশেষ হত্যাকান্ড চালায়। আজও এলাকাবাসী বিজয়ের মাস এলে গভীর শোকে বিহ্বল হয়ে পড়ে।
নরসিংদীর পলাশের ঘোড়াশাল পৌর এলাকার আটিয়াগাঁওয়ের আবুল কাসেমের ছেলে আব্দুস ছাওার বাবুল প্রায় বাকরুদ্ধ কণ্ঠে জানান, ৬ ডিসেম্বর সন্ধ্যার দিকে উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে পাকহানাদার ও রাজাকাররা তাদের বাড়ি আক্রমণ করে। আগুন লাগিয়ে দেয়া হয় গ্রামের ১০/১২টি বাড়িতে। তখন আমার বাবা মা আমাদেরকে নিয়ে ঘরের ভেতর একটি মাটির গর্তে লুকিয়ে পড়েন। পালাতে না পেরে ৩২ নারী-পুরুষ শিশু আশ্রয় নেয় আমাদের একটি মাটির ঘরে। চারদিকে আগুন। এমন সময় মাটির ঘরের দরজা ভেঙ্গে হানাদাররা লুকিয়ে থাকা ৩২ জনকে বাড়ির উঠানে দাঁড় করে সারিবদ্ধভাবে। আমার বাবা মাটির গর্তেই অজ্ঞান হয়ে যান। আচমকা নরপিশাচদের আগ্নেয়াস্ত্র গর্জে ওঠে। নিজ বাড়ির উঠানেই ঢলে পড়ে ১৮ নারী-পুরুষ-শিশু। গুরুত্বর আহত হয় ৬ জন। তারাও স্বাধীনতার পর মারা যান। ওইদিন শহীদ হয় মোকছেদ আলী, মালাবক্স, শাহাজাহান, রহম আলী, আ. হেকিম, হযরত আলী, আম্বিয়া খাতুন, মজিদা, শিশুপুত্রসহ (৪ মাস) আয়শা, শাহাজউদ্দিন শাহা, নেহাজউদ্দিন চুইল¬া, নেজু প্রমুখ। কিন্তু স্বাধীনতার ৫০ বছরেও শহীদদের স্মৃতি রক্ষার কোন উদ্যোগ নেয়া হয়নি। পৌর কাউন্সিলর ফরহাদ হোসেন বলেন, পলাশে পাক হানাদার বাহিনীর হাতে এটাই সবচেয়ে বড় হত্যাকান্ড। কিন্তু দুর্ভাগ্য শহীদদের স্মৃতি রক্ষার্থে কোন উদ্যোগ নেয়া হয়নি এখনো। ঘোড়াশাল পৌর মুক্তিযোদ্ধার সাবেক কমান্ডার ও সাবেক পৌর কাউন্সিলর বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. রফিক ভূইয়া বলেন, আমার বাড়ির পাশেই পাক হানাদার বাহিনী এ নারকীয় হত্যাকান্ড চালিয়ে ১৮ জন নিরিহ নারী পুরুষসহ শিশুকে হত্যা করে। এ দিনটি আসলে এখনো এ গ্রামের মানুষ শিহরে উঠে। শ্রদ্ধা ভরে স্মরণ করে এ দিনটিকে। উধর্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে দাবী জানাচ্ছি তাদের স্মৃতি রক্ষার্থে যেন উদ্যোগ গ্রহন করে। এ অঞ্চলের ট্র্যাজেডির কথা উল্লেখ করে শহীদ পরিবারগুলোর স্মৃতি রক্ষার্থে একটি বধ্যভূমি নির্মাণের দাবি স্থানীয়দের।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো দেখুন