মোঃ ইমাম হোসেন রিপনঃ নিত্য পণ্যের দাম কোন ভাবেই নাগালের কাছে আসছে না। নরসিংদীর মনোহরদীতেও হু হু করে বাড়ছে চাল, ডাল, তেলসহ নিত্য পণ্যের দাম। এতে চরম বিপাকে পড়েছেন নি¤œ ও মধ্যম আয়ের মানুষ। পণ্যের দাম বাড়লেও বাড়েনি তাদের আয়। তাই পরিবার চালাতে গিয়ে হিমসিম খেতে হচ্ছে এসব মানুষের। আয়ের সঙ্গে খরচের ভারসাম্য রাখতে গিয়ে নি¤œমধ্যবিত্তদের প্রতিদিনই কাটছাট করতে হচ্ছে বাজার তালিকা। এভাবে দ্রব্যমূল্যের দাম বৃদ্ধিতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সাধারণ মানুষ। তাদের মতে ব্যয় এতই বেড়েছে যে, জীবন চালানো দায় হয়ে পড়েছে। বাজার ব্যবস্থার উপর সরকারের নিয়ন্ত্রণ নেই। উল্লেখ্য করে প্রতিনিয়ত বিভিন্ন পণ্যের দাম বাড়ছে বলে অভিযোগ করছেন তারা। সরেজমিনে মনোহরদী উপজেলার বিভিন্ন হাটবাজার ঘুরে জানা গেছে খোলা সয়াবিন বিক্রি হচ্ছে ১৭৫/১৮০ টাকা লিটার। গত বছর এই তেলের দাম ছিল ৯০/১০৫ টাকা। খোলা পামওয়েলের দাম ছিল ৬০/৬৫ টাকা। যা এখন বিক্রি হচ্ছে ১৫০/১৬০ টাকায়। তবে বোতলজাত সয়াবিন বিক্রি হচ্ছে ১৭৫/১৮০ টাকায়। চিনির দাম ৭৫/৮০ টাকায়। খোলা আটা বিক্রি হচ্ছে ৩৩/৩৫ টাকায়। প্যাকেট আটা ৪০/৪৫ টাকা। সরু চালের দাম ৬০/৬৫ টাকা। গত বছর মোটা চালের দাম ছিল ৩০/৩৫ টাকা, কিন্তু এখন ৪০/৪৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বেড়েছে মসুর ডালের দামও। মসুর ডাল বিক্রি হচ্ছে ১২০/১৩০ টাকায়। গত বছর এই ডালের দাম ছিল ৯০/১০০ টাকা। মোটা দানার ডালের দাম বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৮০/১০০ টাকায়। তাছাড়া পেঁয়াজের দাম ৫০ টাকা, রসুন ৪০ টাকা, আলু ২০ টাকা, শসা ৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়াও ব্রয়লার মুরগী ১৫০, লেয়ার ৩০০, কক ২৭০ ও দেশি মুরগী বিক্রি হচ্ছে ৫০০ টাকা দরে। আর গরু ও খাসীর মাংস সে তো মধ্যবিত্তের স্বপ্ন। মোঃ আবুল হোসেন নামের এক ক্রেতা বলেন, বাজারে আসলেই মাথা গরম হয়ে যায়। সবজি বলেন আর চাল, ডাল, তেল বলেন কোনটার দামই কমছে না। দিনদিন নিত্য পণ্যের দাম যে হারে রাতারাতি বাড়ছে তাতে আমার মত নি¤œমধ্যবিত্ত মানুষদের বাজার করতে হিমসিম খেতে হচ্ছে। তাছাড়া সামনে আসছে রমজান মাস। তাই এখনই বাজার ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণ না করলে সামনে আরও খারাপ হবে আমাদের। নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন শিক্ষক বলেন, আমরা যা বেতন পাই তা দিয়ে মাসের ১৫ দিন সংসার চালানোই কঠিন। দাম বাড়েনি এমন কোন পণ্য নেই। সব পণ্যের দাম আবহাওয়ার উপর নির্ভর করে না। যেমন চাল, ডাল, তেল, আটা ও মাংস ইত্যাদি। এগুলোতে সরকারের মনিটরিং থাকে না বলেই দাম বাড়ে। এসব পণ্যে সরকারের জোর মনিটরিং দরকার। সঙ্গে সঙ্গে অন্যান্য পণ্যের ক্ষেত্রে সাপ্লাই চেইনের উপর লক্ষ্য রাখা উচিত। খুচরা বিক্রেতা মোঃ ইকবাল হোসেন বলেন, আমাদের পাইকারী বাজার থেকে বেশি দামে পণ্য কিনতে হচ্ছে। সেইজন্য বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। এখানে খুচরা ব্যবসায়ীদের কিছুই করার নেই। পাইকারী মালিক মোঃ কফিল উদ্দিন বলেন, পাইকারীতে আমাদের মাল বেশিতে কিনতে হয় বলেই বিক্রিও করতে হয় বেশি। এখানে আমাদেরইবা কি করার আছে।
Leave a Reply