মধ্যবিত্ত পরিবারে বেড়ে ওঠা তাহমিনা আক্তার শিউলি প্রথম চেষ্টাতেই ৪৩তম বিসিএসের শিক্ষা ক্যাডারে সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েছেন। ৪৩তম বিসিএস পরীক্ষার প্রজ্ঞাপনে ৫২ জনকে সুপারিশ করা হয় যেখানে তাহমিনা আক্তারের মেধাক্রম ২৪তম। তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বোটানি ডিপার্টমেন্টের শিক্ষার্থী ছিলেন।
বেলাব উপজেলার নারায়ণপুর ইউনিয়নের কাঙ্গালিয়া গ্রামের মোঃ তাজুল ইসলাম মাষ্টারের ৩ ছেলে ও ৩ মেয়ের মধ্যে তাহমিনা আক্তার পঞ্চম।
পরিবার সূত্রে জানা গেছে, ছোট বেলা থেকেই মেধার লড়াইয়ে নিজের সেরাটা দেওয়া শুরু করেন। প্রথম শ্রেণী থেকে শুরু করে দশম শ্রেণী পযর্ন্ত তাহমিনা আক্তার প্রতিটি শ্রেণীতে মেধা তালিকায় প্রথম স্থান ধরে রাখেন। পঞ্চম ও অষ্টম শ্রেনিতে বৃত্তি, এস এস সি তে গোল্ডেন প্লাস ও এইচ এস সি তে জিপিএ ফাইভসহ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বোটানি ডিপার্টমেন্টে থেকে ফাস্ট ক্লাস ফাস্ট নিজের সফল অবস্থান অর্জন করেন। তাহমিনা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পাওয়ার পর টিউশন এবং কোচিং এ ক্লাস নিয়ে নিজের লেখাপড়ার খরচ নিজেই চালাতেন।
মাস্টার্স পড়াকালীন শেষ পর্যায়ে একাডেমিক পড়াশোনার পাশাপাশি তিনি বিসিএসের প্রস্তুতি শুরু করেন। করোনার মহামারীর মাঝে তিনি ৪৩ তম বিসিএসে আবেদন করেন।
কিছুদিন পরই ২০২১ সালের ২৯ অক্টোবর ৪৩ তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হলে তিনি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন।
জানা যায়, ৪৩ তম বিসিএসে অংশগ্রহণ করেন ৪ লাখ ৩৫ হাজেরের বেশি পরীক্ষার্থী। এদের মধ্যে মাত্র ১৫ হাজারের কিছু বেশি প্রার্থী লিখিত পরীক্ষার মধ্যে তাহমিনা আক্তার শিউলি প্রথম ধাপ এগিয়ে যান। পরবর্তী ধাপে ৯ হাজার প্রার্থী মধ্যে তাহমিনা আক্তারও ভাইভার পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করেন। গত ২৬ শে ডিসেম্বর ভাইভার রেজাল্টে তাহমিনা আক্তার চূড়ান্ত ভাবে উত্তীর্ণ হয়ে শিক্ষা ক্যাডারে সুপারিশ পান।
তাহমিনা আক্তার শিউলি এই বিসিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হবার পিছনে তার পরিবার তাকে কতটা সাহায্য করেছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার বাবা-মা, ভাইবোন সব সময় স্বপ্ন দেখেছেন আমাকে নিয়ে। তারা আমাকে সাহস জোগাতেন। তাই পরিশ্রমের হলেও কঠিন বা অসম্ভব মনে হয়নি। পরিবারের আশা ও স্বপ্নই আমাকে এই পর্যন্ত এনেছে। আশা করি নিজের ওপর অর্পিত সব দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করে দেশের মানুষের সেবা করার সু-মহান ব্রত নিয়ে এগিয়ে যেতে পারবো।
# এলবি/এপি
Leave a Reply