1. [email protected] : admi2017 :
  2. [email protected] : news post : news post
  3. [email protected] : taifur nur : taifur nur
April 30, 2024, 10:47 am
সর্বশেষ সংবাদ
৬০ লাখ টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনায় ৩ জন গ্রেপ্তার, ১৬ লাখ টাকা উদ্ধার নরসিংদীতে কারিগরি শিক্ষার উপর সেমিনার ও চাকরি মেলা নরসিংদীতে জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস পালিত মনোহরদীতে সাংবাদিকদের সাথে উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীর মতবিনিময় শিবপুরে প্রেমিকার আত্মহত্যার ১৯ দিন পরে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে প্রেমিকের আত্মহত্যা নরসিংদীতে বৃষ্টি কামনা করে ইসতিসকার নামাজ আদায় উপজেলা নির্বাচন: বিএনপি’র হুশিয়ারিকে পাত্তা দিচ্ছে না তৃণমূল নেতারা দোষ কি সব প্রকৃতির? মনোহরদীতে সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে গরমের ছুটিতেও নির্বাচনী পরীক্ষা গ্রহণ নরসিংদীতে ট্রেনেকাটাপড়ে এক বৃদ্ধার মৃত্যু

জীবনানন্দের ভাঁটফুল অনেকটা নীরবেই বিলিয়ে যাচ্ছে সৌন্দর্য

প্রতিবেদকের নাম
  • পোস্টের সময় Sunday, March 31, 2024
  • 102 বার দেখা হয়েছে

ইঞ্জিনিয়ার মাহবুব খান
বাগানের দামী ফুল নয় পথের ধারে অযতেœ বেড়ে উঠা জঙ্গলি ফুলই এই বাংলাকে করেছে রুপসী বাংলা। বলছিলাম ভাঁটফুলের কথা। ভাঁটফুল এখন নয়নাভিরাম সৌন্দর্য ছড়াচ্ছে দেশের বিভিন্ন গ্রামে। ভাঁটফুলের সুবাস ও সৌন্দর্য আমাদের মাতিয়ে রাখে। এটি গ্রামবাংলার অতিপরিচিত একটি বুনো ফুল।
গাঁয়ের মেঠোপথের দুই ধারে থোকায় থোকায় ফুটে আছে ভাঁটফুল। অনেকটা নীরবেই বিলিয়ে যাচ্ছে সৌন্দর্য। স্নিগ্ধ শোভার সুরভিত ভাঁটফুলের রূপসুধায় আকৃষ্ট হয়ে আসছে অনেক পাখি ও পতঙ্গ। ভাঁটফুলের নয়নাভিরাম শুভ্রতায় পুলকিত হয়ে উঠছে প্রকৃতিপ্রেমীদের মন।
দিনের রুপবতী ভাঁটফুল গন্ধ ছড়ায় রাতে, বাতাসে ভেসে বেড়ানো সে গন্ধ পথচারী ও গ্রামবাসীকে মোহিত করে।
ভাঁটফুলের সৌন্দর্যে মুগ্ধ হয়ে জীবনানন্দ দাশ তাঁর ‘রূপসী বাংলা’ কবিতায় লিখেছে ‘ভাঁট আঁশ শ্যাওড়ার বন/বাতাসে কী কথা কয় বুঝি নাকো/ বুঝি নাকো চিল কেন কাঁদে/ পৃথিবীর কোনো পথে দেখি নাই আমি/ হায়, এমন বিজন।’
ভাঁট গাছের প্রধান কা- সোজাভাবে দন্ডায়মান, সাধারণত ২ থেকে ৪ মিটার লম্বা হয়। পাতা ৪ থেকে ৭ ইঞ্চি লম্বা হয়। দেখতে কিছুটা পানপাতার আকৃতির ও খসখসে। ডালের শীর্ষে পুষ্পদ-ে ফুল ফোটে। পাপড়ির রং সাদা এবং এতে বেগুনি রঙের মিশেল আছে। বসন্ত থেকে গ্রীষ্ম অবধি ফুল ফোটে। এই ফুলের রয়েছে মিষ্টি সৌরভ। ফুল ফোটার পর মৌমাছিরা ভাঁট ফুলের মধু সংগ্রহ করে। গ্রামের মেঠো পথের ধারে, পতিত জমির কাছে এরা জন্মে থাকে এবং কোনরূপ যতœ ছাড়াই প্রাকৃতিকভাবে বেড়ে ওঠে। এছাড়াও পাহাড়ি বনের চূড়ায় এবং পাহাড়ি ছড়ার পাশে এদের উপস্থিতি বিশেষভাবে লক্ষনীয়। অঞ্চলভেদে এই বুনো ফুলটি ভাটঁফুল, ঘেটুফুল ও বনজুঁই নামে পরিচিত।
-ইঞ্জিনিয়ার মাহবুব খান, কবি ও লেখক

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো দেখুন