স্টাফ রিপোর্টারঃ নরসিংদীর শিবপুর অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের মহোৎসব চলছে। প্রভাবশালীরা অবাধে বালু উত্তোলন করছে। ফসলি জমি এবং ঘরবাড়ি হুমকিতে পড়েছে। ভুক্তভোগীরা এ ব্যাপারে সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। খোঁজ নিয়ে দেখা যায়, প্রভাবশালী ব্যবসায়ীরা উপজেলার দুলালপুর ইউনিয়নে বিভিন্ন গ্রামে শ্যালো মেশিন বসিয়ে অবাধে বালু তুলছেন। তেমনি গড়বাড়ী গ্রামের ঐতিহ্যবাহী দীঘি থেকে পুনরায় বালু উত্তোলনের কারণে বিভিন্ন স্থানে ধসের সৃষ্টি হয়েছে। ফলে যেকোনও সময় দীঘির পাড়ের জমি ও বাড়িঘর ধসে যাওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
তমিজউদ্দীন বলেন, আমাদের গ্রামের ঐতিহ্যবাহী দীঘি রয়েছে যাতে পাশ্ববর্তী এলাকার মানুষজন মাছের চাহিদা গবাদিপশুর গোসল এবং পাট ঝাক দেওয়া বিভিন্ন চাহিদা মেটাতে পারতো। কিন্তু বালু খেকু তাইজুল ইসলাম (তাজু শেখ) রে লোলুপ দৃষ্টি পরে উক্ত দীঘির উপর। পরে সে দীঘি থেকে কিয়দংশ জমি ক্রয় করে তিনি প্রায় ২ বৎসর যাবৎ বালু উত্তোলন করে দেশের বিভিন্ন জায়গায় বিক্রি করে আসছে। দীর্ঘদিন যাবৎ বালু উত্তোলনের ফলে পার্শ্ববর্তী জমি ভেঙ্গে আস্তে আস্তে খননকৃত গভীর গর্তে পড়ে যাচ্ছে এবং পার্শ্ববর্তী বাড়িঘর যে কোন সময় তলিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা বিদ্যমান থাকায় প্রয় ১বছর পূর্বে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মহোদয় সরজমিনে এসে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে উক্ত মেশিন ও সরঞ্জামাদি পুড়িয়ে ফেলে এবং নগদ টাকা জরিমানা ধার্য্য করেন। দীর্ঘদিন বালু উত্তোলন বন্ধ থাকলেও গত ২ জানুয়ারি সকালে পুনরায় পূর্বের ন্যায় বালু উত্তোলন করতেছে। এতে এলাকাবাসী তাদের বাড়ি ঘর নিয়ে আতংকের মধ্যে পড়েছে। তাজু শেখ গ্রামে বলে বেড়াছেন পাকাপোক্ত ভাবে বালু উত্তোলন করছেন। কারো বাধা দেওয়ার অধিকার নাই। এই বিষয়টি স্থানীয় চেয়ারম্যান কে বারবার জানালেও কোন প্রদক্ষেপ নেননি। তাই নিরুপায় হয়ে আবারও জেলা প্রশাসক মহোদয় ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার মহোদয় বরাবর অভিযোগ দিয়েছি। নাম ও পরিচয় প্রকাশে অনিচ্ছুক বাসিন্দারা জানান, প্রভাবশালী মাটি ও বালু ব্যবসায়ীরা অনুরোধ সত্ত্বেও বালু ও মাটি কাটা অব্যাহত রেখেছেন। সারা দিনরাত বালু পরিবহন করায় গ্রামীণ সড়কগুলো ধ্বসে চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়ছে। আবার বালু তোলার কারণে ফসলি জমি ও বাড়িঘর হুমকির মুখে পড়েছে। প্রভাবশালী বালু ও মাটি ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে স্থানীয় প্রশাসন এবং জনপ্রতিনিধিদের কাছে অভিযোগ করে প্রতিকার মেলেনি। মাঝে মাঝে প্রশাসন থেকে অভিযান চালিয়ে মেশিনপত্র জবাদ করা হলেও কিছুদিন পর আবার পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যায়। এ অবস্থা বিরাজ করলে আগামী দু’তিন বছরের মধ্যে দীঘির পাশের ফসলি জমি, ভিটে ও বাড়িঘর ধসে দীঘিরগর্ভে বিলীন হবে।
দুলালপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শামীম বলেন, এলাকাবাসী আমাকে গতকাল জানিয়েছেন, পরে আমি স্থানীয় মেম্বার কে বলেছি বিষয় টি দেখে আমাকে যানাতে। পূর্বে তাকে কোন জরিমানা করা হয়েছে কিনা তা আমি জানিনা।
Leave a Reply