মনোহরদী প্রতিনিধি
নরসিংদীর মনোহরদীতে কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া বিদ্যালয়ের বিশালাকৃতির একটি মেহগনি গাছ ও অন্যান্য জিনিসপত্র অবৈধভাবে বিক্রির অভিযোগ উঠেছে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে। উপজেলার ৩৮ নং কৃষ্ণপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল মান্নান গাছ বিক্রি করে টাকা আত্মসাৎ করেছেন। গাছটির বাজার মূল্য প্রায় ৭০ হাজার টাকা। এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের দাতা সদস্য ইমরান হোসেন ভূঞা সুমন মনোহরদী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, কৃষ্ণপুর সরকারী প্রাথমিক নতুন ভবন নির্মাণ কাজ চলছে। ভবন নির্মাণ করতে গিয়ে যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়াই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বিশাল আকৃতির একটি মেহগনি গাছ বিক্রি করে দিয়েছেন। যার বাজার মূল্য প্রায় ৭০ হাজার টাকা। বিদ্যালয়ের পুরনো একটি ঘরের কাঠ ও অন্যান্য জিনিসপত্র গোপনে বাড়িতে নিয়ে যান প্রধান শিক্ষক। সেগুলো দিয়ে ব্যক্তিগত আসবাবপত্র বানিয়েছেন। তাছাড়া টিন ও লোহার ফ্রেম বিক্রির প্রায় ৪৫ হাজার টাকাও আত্মসাৎ করেছেন তিনি।
অভিযোগে আরও উল্লেখ করা হয়, বিদ্যালয়ের শ্রেনী কক্ষ সংকট থাকা সত্ত্বেও একটি কক্ষ নির্মাণ শ্রমিকদের কাছে ভাড়া দিয়েছেন প্রধান শিক্ষক। ফলে একই কক্ষে দুটি শ্রেনির ক্লাস নিতে হচ্ছে। পরীক্ষার ফির নামেও হাজার হাজার টাকা আদায় করে আত্মসাৎ করেছেন বলেও অভিযোগ এই প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল মান্নান বলেন, ‘বিধি মোতাবেক সবকিছু করা হয়েছে। প্রতিহিংসাবশত আমার বিরুদ্ধে এসব মিথ্যা অভিযোগ দিয়েছেন। তদন্তে সবকিছু প্রমাণিত হবে।’
মনোহরদী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. সোহরাব হোসেন ভূঞা বলেন, ‘বিদ্যালয়ের গাছ বিক্রি ও অন্যান্য বিষয়ে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ পেয়েছি। এ ঘটনায় দুই সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।’
মনোহরদী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রেজাউল করিম বলেন, বিদ্যালয়ের গাছ কাটার অভিযোগ পেয়েছি। উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে তদন্তপূর্বক বিধি মোতাবেক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’
Leave a Reply